সন্দ্বীপ কূলবর্তী সাগরে বোট ডাকাতির ঘটনায় ইউপি মেম্বারসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা।

0 ৭৫৪,২৫০

সন্দ্বীপের কূলবর্তী বঙ্গোপসাগরের মোহনায় একটি মাছ ধরার বোটে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।এ ঘটনায় এক ইউপি সদস্যসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী বোট মালিক সাহাবউদ্দিন।তিনি ভোলা জেলার মনপুরার বাসিন্দা। পুলিশ অভিযান চালিয়ে বোটটি উদ্ধার করেছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়,গত ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সাহাবউদ্দিন মাঝিমাল্লাসহ বোট দিয়ে সাগরের বিভিন্ন পয়েন্টে মাছ আহরণ করেন।সাগরের পানি এবং স্রোত বেড়ে যাওয়ায় তারা সন্দ্বীপের কূলে আসলে ২৮ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল আনুমানিক ১১টায় সারিকাইত ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের সংলগ্ন সাগরের মোহনায় লাল বয়ার কাছে নুরছাপা প্রকাশ শ্রাবণ মাঝি,সারিকাইত ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শামশুল হুদা ছানুসহ ১০ থেকে ১২ জনের একটি সশস্ত্র দল অন্য একটি বোট নিয়ে এসে তাদের উপর হামলা করে মাছসহ বোট নিয়ে আসে।

বোটের মালিক সাহাব উদ্দিন বলেন,আমাদের পাশে এসে ডাকাতরা তাদের বোট দিয়ে আমাদের বোটকে ধাক্কা দিয়ে আমাদের বোটে উঠে যায়।আমাদের মারধর করে আমার লোকজনকে কেবিনের ভিতর ঢুকে যাওয়ার জন্য বলে।আমি কেবিনে না ঢুকায় আমাকে মারধর করে নদীতে ফেলে দেয়।আমি বোটের পিছনের অংশ ধরে পানিতে ভেসে বাচার জন্য আকুতি করি।

একপর্যায়ে কাউকে কিছু না বলার শর্তে আমাকে তুলে নিয়ে বোটসহ গাছতলী হাট দুর্গা চরণ খালে নিয়ে আসে।আমার বোট,বোটে থাকা মালামাল ও নগদ ২০ হাজার টাকাসহ প্রায় সাড়ে ১৬ লাখ টাকার জিনিসপত্র ডাকাতি করে।

অভিযোগ পাওয়ার পর সন্দ্বীপ থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে সারিকাইত গাছ তলীর হাট দুর্গা চরণ ঘাট থেকে বোটটি উদ্ধার করে এবং শ্রাবণ মাঝিকে গ্রেফতার করে।

সন্দ্বীপ থানার পুলিশের ওসি শহীদুল ইসলাম সোহাগ বলেন,বোট ডাকাতির ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং একজন আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য,এই রুটে মাছ ধরতে আসা চট্টগ্রামে বাংলাবাজার,চৌচালা,কাট্টলি ঘাটসহ ভোলা,হাতিয়া,মনপুরার বোটে প্রতি বছর ইলিশের সিজনে ডাকাতির ঘটনা ঘটে।অভিযোগ রয়েছে,স্থানীয় কিছু প্রভাবশালীর ছত্রছায়ায় চিহ্নিত জলদস্যুদের দ্বারা এসব ডাকাতি হয়ে থাকে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!