সৎ ভাগিনা কর্তৃক জমি ভাগাভাগি নিয়ে বিরোধের জেরে মামাকে নৃশংসভাবে হত্যার অন্যতম প্রধান আসামী সাইফুল ইসলাম বাদশা’কে আটক করেছে র‌্যাব-৭,চট্টগ্রাম।

0 ৩৮৭,৬৯৩
নিহত ভিকটিম মুছা মিয়া পেশায় একজন সিএনজি চালক ছিলেন।মুছা মিয়া এবং তার সৎ ভাগিনা ধৃত আসামী বাদশার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক ও জমি সংক্রান্ত ব্যাপারে বিরোধ চলছিলো।এ সংক্রান্ত ব্যাপারে মুছা মিয়ার সৎ ভাগিনা একটি মামলা করলে উক্ত মামলায় মুছা মিয়া ০৬ মাসের হাজতবাস করেন।নিহত ভিকটিম মুছা মিয়া গত ০৮ মার্চ ২০২২ইং তারিখ ০৬ মাসের হাজতবাস শেষে জামিনে মুক্তি পান।মুছা মিয়া জামিনে মুক্তি পেয়ে বাড়ি ফিরে আসার পর থেকে তার সৎ ভাগিনা শাহজাহান ও তার ভাইয়েরা মুছা মিয়াকে মেরে ফেলার হুমকি দিতে থাকে।
পরবর্তীতে ১৯ এপ্রিল ২০২২ ইং তারিখ আনুমানিক রাত ১০ ঘটিকায় মুছা মিয়া সারাদিন সিএনজি চালিয়ে বাড়ী ফেরার উদ্দেশ্যে তার সৎ ভাগিনা বাদশার বসত ঘরের পাশে চলাচলের রাস্তার উপর পৌঁছামাত্র আসামী শাহজাহানসহ তার অপরাপর সহযোগী মিলে পূর্ব শত্রতার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে দেশীও ধারালো অস্ত্র দা ও কিরিচ দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত করে মারাত্বকভাবে জখম করতঃ মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়।এ ঘটনায় নিহত ভিকটিমের স্ত্রী বাদী হয়ে চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী থানায় ০৬ জন নামীয় এবং ২/৩ জন অজ্ঞাত নামা করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।যার নং-২৫,তারিখ ২০ এপ্রিল ২০২২ইং,ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০।
এই জঘন্য হত্যার ঘটনাটি চাঞ্চল্যকর ও লোহমর্ষক হওয়ায় এর সাথে জড়িত আসামীদের গ্রেফতারের জন্য র‌্যাব-৭,চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জ হিসাবে গ্রহন করে ব্যাপক গোয়েন্দা নজরদারী এবং ছায়াতদন্ত অব্যাহত রাখে।এরই প্রেক্ষিতে র‌্যাব-৭,চট্টগ্রাম জানতে পারে যে,উল্লেখিত হত্যা মামলার সাথে সরাসরি জড়িত এজাহারনামীয় ৩নং আসামী সাইফুল ইসলাম বাদশা চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ এলাকায় অবস্থান করছে।উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ১৬ জুন ২০২২ ইং তারিখ র‌্যাব-৭,চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিকদল বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী সাইফুল ইসলাম বাদশা(৩৫),পিতা- মৃত ফুল মিয়া প্রঃ আব্দুল মালেক,সাং-বুলবুলি পাড়া,থানা-হাটহাজারী,জেলা-চট্টগ্রাম’কে আটক করতে সক্ষম হয়।পরবর্তীতে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামী উপরে উল্লেখিত জঘন্যতম হত্যা কান্ডের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত ও অনত্যম পরিকল্পণাকারী ছিলো বলে অকপটে স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে প্রাথমকি জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায়,নিহত ভিকটিম মুছা মিয়া ধৃত আসামী সাইফুল ইসলাম বাদশা সর্ম্পকে মামা হয়। মামার জায়গা জমি ভাগাভাগি নিয়ে বিরোধ এর কারনে পরিকল্পিতভাবে বাদশা ও তার ভাইদের নিয়ে ধারালো দা ও কিরিচ দিয়ে কুপিয়ে নির্মম ও নৃশংসভাবে তাদের মামাকে হত্যা করেছে।
উল্লেখ্য যে, উপরে উল্লেখিত মামলার ২নং আসামী মোঃ শাহজাহান (ধৃত আসামী সাইফুল ইসলাম বাদশা’র আপন ভাই)’কে র‌্যাব-৭,চট্টগ্রাম কর্তৃক একই অপরাধের কারণে গত ৩০ এপ্রিল ২০২২ ইং তারিখ আটক করে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করেছে।
গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!