চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে রাতের আঁধারেই চলছে সরকারি খাস জমি থেকে মাটি কাঁটার মহা উৎসব।

0 ৫০৬,৭৫৯

চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলায় রাতের আঁধারে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে চলছে মাটি কাঁটার মহা উৎসব।ফসলি জমি,সরকারি খাস জমি,মালিকানা জমি থেকে মাটি কেটে বিক্রি করা হচ্ছে।স্কেভেটর দিয়ে ফসলি জমির উপরের অংশ ট্রাকে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ভাটাসহ বিভিন্ন স্থাপনা ভরাটের কাজে।এতে করে একদিকে জমির উর্বরতা নষ্ট হয়ে হারিয়ে যাচ্ছে শত শত বিঘা ফসলি জমি।অন্যদিকে অতিরিক্ত ওভারলোডিং এর ফলে নষ্ট হচ্ছে গ্রামীণ রাস্তাও।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,সন্দ্বীপ উপজেলার রহমতপুর,মগধারা,বাউরিয়া,কালাপানিয়া,কাছিয়াপাড়সহ মোট ২৩টি জায়গায় চলছে ফসলি জমি ও সরকারি খাস জমি থেকে মাটি কাটার মহা উৎসব।মাটি কাঁটার সময় শুরু হয় রাত ৮টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত।
সরেজমিনে গিয়ে আরো জানা যায় যে,প্রশাসনকে মেনেজ করেই মাটি কাঁটা হচ্ছে।এছাড়া উপজেলা প্রশাসন,থানাসহ রাজনৈতিক নেতাদের মাসোয়ারা দিয়েই মাটি কাঁটার কাজ করতে হয় তাদের।

সন্দ্বীপ উপজেলায় অবৈধ ১৬টি ইটভাটা আছে।এসব ইটভাটায় মাটির চাহিদা পূরণ করতে কৃষিজমি থেকে মাটি নেয়া হচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে।স্থানীয় জনগণের কথা চিন্তা না করে ভূমিদস্যুরা অবাধে মাটি বিভিন্ন ইটভাটায় বিক্রি করছে।অবৈধ ইটভাটায় মাটি চাহিদা পূরণ করতেই সবচেয়ে বেশি মাটি হয় বলে জানা যায়।

এই বিষয়ে সন্দ্বীপ উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মঈন উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,যারাই অবৈধভাবে সরকারি জমি হতে মাটি কাটবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে এবং হবে।একইসাথে জনগনকেও এই বিষয়ে সজাগ থাকার আহবান জানান।

অবৈধভাবে মাটি কাঁটার বিষয়ে সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সম্রাট খীসার সাথে বার বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

অবৈধভাবে মাটি বিক্রির কারণেই নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ,ধ্বংস হচ্ছে রাস্তা,কমে যাচ্ছে কৃষি জমির উর্বরতা কমে যাচ্ছে।এইভাবে চলতে থাকলে ফসলী জমি নষ্টের পাশাপাশি আরো নানা ধরনের ক্ষতি হচ্ছে বলে মনে করেন সুশীল সমাজের লোকজন।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!