প্রতিবেশী ভাড়াটিয়া মা-মেয়ে’র অনৈতিক কর্মকাণ্ডে ফ্ল্যাটের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে বিষয়টি অনুধাবন করছিলেন সাংবাদিক জুয়েল খন্দকার।এমনই দাবি জানিয়েছেন,দৈনিক দেশবাংলা’র ডেস্ক ইনর্চাজ ও সংবাদ টিভি’র চেয়ারম্যান সাংবাদিক জুয়েল খন্দকার।তিনি রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের খালপাড় রোড আউয়াল কলেজের ১নং গেটের পাশে বিএনপি থেকে ছিটকে যাওয়া নেতা সেলিম আহম্মেদ’র বাড়িতে পঞ্চম তলায় বসবাস করেন।
নিজে বসবাস করা ফ্ল্যাটের পাশের ফ্ল্যাটে এমন অনৈতিক কর্মকাণ্ড আদর্শের জায়গা থেকে এড়িয়ে যেতে পারেননি তিনি।তাই বিষয়টি নিয়ে ফ্ল্যাটের মালিক বিএনপি থেকে ছিটকে যাওয়া নেতা সেলিম আহম্মেদকে অবগত করেছিলেন।কিন্তু প্রতিকার তো হলোই না উল্টো পরিবারসহ বাড়ির মালিক বিএনপি থেকে ছিটকে যাওয়া নেতা সেলিমের দেওয়া হত্যার হুমকির মুখে পড়ে গেলেন সাংবাদিক জুয়েল।তাও পুলিশ কর্মকর্তার সামনেই দাঁড়িয়ে কুপিয়ে হত্যার হুমকি দিয়েছেন সেলিম।
এলাকাবাসীরা বলছেন,সেলিম নিজেই তো অপরাধী,নারী কেলেঙ্কারিতে জড়িত,ভূমিদস্যু ও মাদকসহ নানা রকম অপরাধকর্মে জড়িত।সেক্ষেত্রে প্রতিকারের তো প্রশ্নই আসে না।বরং অপরাধ ও অপরাধীকে টিকিয়ে রাখতে সে শেল্টার দিবে এটাই স্বাভাবিক।
শুধু সাংবাদিক নয়,অপরাধ কর্মে যে তার পথের কাঁটা হবে তাকেই সে কেটে টুকরো করে ফেলবে এলাকাতে এমনই হুংকার দিয়ে থাকেন প্রায় সময়। আর এরই বাস্তব প্রতিফলন আর দুঃসাহস দেখালেন পুলিশের সামনপ দাঁড়িয়ে সাংবাদিককে কেটে ফেলার হুমকি দিয়ে।সেলিমের এমন দুঃসাহসিকতার কথা জেনে হতবাক স্থানীয়রা।
এলাকাবাসী ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে সেলিমকে সমাজের ক্ষতিকারক দুর্গন্ধ ছড়ানো পোকা আখ্যা দিয়ে তার শাস্তি দাবি করেন।এদিকে কেটে ফেলা বা হত্যার হুমকির সূত্রপাত প্রসঙ্গে সাংবাদিক জুয়েল আমাদেরকে জানান,বাড়ির ফ্ল্যাটে মা-মেয়ে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত৷এটা নিয়ে অন্যান্যরা ভয়ে মুখ খুলতে পারছিলেন না।ক্রমেই নষ্ট হচ্ছিল ফ্ল্যাটের পরিবেশ,যেখানে পরিবার নিয়ে থাকা মানসম্মানের প্রশ্ন এবং শিশু বা পরিবারের ছেলে-মেয়েদের জন্য হুমকি হয়ে দাড়িয়েছিল।
সেলিম নিজেই অপরাধী বা যেমনই হোক সে ভবনের মালিক সেই হিসেবে তাকে জানানো উচিৎ এমন চিন্তা থেকেই তাকে বিষয়টি জানিয়েছিলেন সাংবাদিক।চোরে না শোনে ধর্মের কাহিনী আর সাংবাদিক জুয়েল পেলেন তারই ফল।এসব বিষয় নিয়ে বলতে গেলে সেলিম তেলে বেগুনে জ্বলে উঠেন সাংবাদিক জুয়েল খন্দকারের উপর।অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে পরিবারসহ চিরদিনের মতো ঘুম পাড়িয়ে দিবে বলে হুমকি ধমকি দেন তিনি।
পরবর্তীতে জুয়েল খন্দকার নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তায় বিষয়টি দ্রুত ফেসবুকে দিয়ে সহকর্মীসহ সকলের নজরে আনেন এবং শুভাকাঙ্ক্ষী সহকর্মীদের পরামর্শে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
এই ঘটনার আগে পুলিশ আসলে পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর শরীফ হোসেনের সম্মুখে দাঁড়িয়েই সেলিম সাংবাদিক জুয়েলকে কেটে ফেলার হুমকি দেন। সাংবাদিক জুয়েল ও তার পরিবারের সদস্যরা এ ঘটনার পর থেকে জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে চরম আতঙ্কিত।
উল্লেখ্য,সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানানোর পাশাপাশি সেলিমের অপরাধ সাম্রাজ্য গুড়িয়ে দিতে প্রশাসনের কঠিন পদক্ষেপ কামনা করেন।এরই সাথে চেয়েছেন সাংবাদিক জুয়েলসহ তার পরিবারের সদস্যদের সার্বিক নিরাপত্তা।