বিদিরপুর গপাড়া রাত্রীতে চলছে অবৈধ পুকুর খনন।

0 ৯৮

রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলায় অনুমোদন ছাড়াই মাছ চাষের জন্য ফসলি জমিতে ইচ্ছে মতো পুকুর খনন করা হচ্ছে।তাতে ক্রমেই কমছে চাষের উর্বর জমি।এলাকাবাসী জানায় গাড়ির শব্দের ছেলে মেয়ের পড়াশুনা ও ঘুম ঠিক ভাবে হচ্ছেনা।

ভুক্তভোগী কৃষকেরা বলছেন পুকুর খনন যেভাবে বাড়ছে সামনে এ অঞ্চলে তেমন আবাদী জমি থাকবে না চাষের জন্য।আর যতটুকু থাকবে তা দখল করে নিবে ক্ষমতাশীলরা।

মোহনপুরে সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা ধানি জমি কেটে চলা অবৈধ পুকুর খনন কারীদের সাহস যোগানোর পিছনে স্থানীয় প্রশাসনকেই দায়ী করছেন এলাকাবাসিরা।

তারা বলছেন,প্রশাসন ম্যানেজ করেই পুকুর খননের বৈধতা মিলাচ্ছেন ক্ষমতাশীল প্রভাবশালীরা। কেউ অভিযোগ করতে পারেনা ভয়ে,রাতে চলমান থাকে ভেকু মেশিন,রাস্তা নষ্ট করে কাঁদা মাটির অসংখ্য যান চলা করায় দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হয়, বিকট শব্দের যানবাহনে অতিষ্ঠ হয়ে উঠে স্বাভাবিক জীবন-যাপন।অনেক প্রতিবাদ কারিদের পুকুর খননের দালালরা মিথ্যা মামলার হুমকি দেয়।

এদিকে,২০১৯ সালের ১০ মার্চ উচ্চ আদালতের ২৪৭৬ নম্বর রিট পিটিশনের আদেশ অনুসারে বলা হচ্ছে, মোহনপুর উপজেলার আবাদী ভূমিসহ পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ করে পুকুর খনন বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়। সাম্প্রতিক সকল ধরণের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে তিন ও দুই ফসলি ধানি জমিসহ ভিটা কেটে পুকুর খননের হিড়িক পড়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মোহনপুর উপজেলার মৌগাছি ইউনিয়নের বিদিরপুর বকপাড়া পুকুর খননের কাজ চলছে প্রয় ১০০ বিঘা। পুকুর ব্যবসায়ীরা তৃতীয় পক্ষ হিসেবে সরকারি দলের রাজনৈতিক নেতাদের মাধ্যমে আর্থিক লেনদেনে স্থানীয় প্রশাসন ম্যানেজ হয় কাজ করছে এই কথা এলাবাসি বলছে । যার কারণে তিন ও দুই ফসলি জমি ও ভিটা জমি জমিতে পুকুর খনন অব্যাহত রয়েছে। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর থেকে সারা রাএী পুকুর খনন করছে। এলাকার লোক জন রাএীতে ঘুমাতে পারেনা এলাকার বাসি জানাই।
অন্যদিকে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে যাচ্ছে কতিপয় দালাল কিছু চক্র।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানওয়ার হোসেন সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, মোহনপুরে পুকুর খনন হচ্ছে আমরা জানা ছিল না। এইমাত্র অবগত হলাম পুকুর খননকারীদের বিরুদ্ধে আইনুগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!