সন্দ্বীপে শাহেদ এর বাড়িতে হামলা

0 ৩৮৭,৬৪৫
চট্রগ্রাম সন্দ্বীপে দৈনিক দিন প্রতিদিন পত্রিকায় করমরর্ত সাংবাদিক সাহেদ এর নির্মাণাধীন বাড়িতে হামলা ও লুটের ঘটনা ঘটে।সন্দ্বীপ মুছাপুর ৫নং ওর্য়াড আজমত খাঁন গিণি মালাদারের বাড়ি থেকে সাহেদ এর নির্মাণাধীন বসত ঘর এর মালামাল লুট করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,সাহেদ এর সাথে তাদের একই বাড়ির হানিফ এর সাথে দীর্ঘদিন ধরে জায়গা-জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে।কিছুদিন আগে সাহেদ তার নিজ জায়গায় বসত ঘর এর নির্মাণের কাজে হাত দিলে হানিফ এসে বাঁধা দেয়,পরে স্থানীয় ইউপি মেম্বার এসে বিষটি সমাধান করেন। এর কিছু দিন পরে শুনেছি সাহেদ এর বাড়ি থেকে রাতের অন্ধকারে মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী সাহেদ জানান,আমাদের পাশের বাড়ির হানিফ এর সাথে আমাদের বেশকিছু দিন ধরে জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে,বিগত কয়েক মাস আগে ২১/০৫/২২তারিখ সকাল ৭ঃ৩০ মিনেটের সময় প্রচন্ড বাতাসের কারণে কিছু গাছ ভেঙ্গে যায়, গাছের মালিক আকলিমা বেগম ও আজমালা বেগম ভেঙ্গে যাওয়া গাছের ডাল কাটার সময় হানিফ কয়েক জন সন্ত্রাস ও গুন্ডাবাহিনী নিয়ে এসে আকলিমা ও আজমালা বেগম এর উপর হামলা চালায়,আমি হানিফ কে বাধা দিলে তাক্ষণিক হানিফ ও তার সন্ত্রাসীদের নিয়ে আমার উপর হামলা চালায়,আমি আমাদের বাড়িতে আমার গাড়ি রেখে দৌড়ে চলে যায়,বাড়ির উত্তরে মুছাপুর তেমাথায়, গিয়ে ৯৯৯ এ কল করে আইনের সহযোগিতা চাই,পরে সন্দ্বীপ থানা থেকে কিছু পুলিশ পাঠায়, আমি পুলিশ কে নিয়ে বাড়িতে যায় দেখি গাড়ি ভাঙচুর অবস্থায় পরে আছে।
পরে পুলিশকে নিয়ে গাড়ি উদ্ধার করি।বাড়িতে যাওয়ার পর শুনি হানিফ ও তার সন্ত্রাস নিয়ে আমার গাড়ির উপর হামলা ও ভাঙচুর করে হানিফ,আইয়ুব,জিহাদ,জিহান ও আপছার।এই বিষয়ে আমি সন্দ্বীপ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি।এইছাড়াও এরা একাধিক মামলার আসামী সি,আর১২৩/২০২১ও ১৩৬/ ২০২২নং মামলা ওরা ভূমিদস্যু।অভিযোগ করার পর থেকে ওরা আমাকে বিভিন্ন ভাবে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে।
কিছু দিন পূর্বে আমি একটা ব্যক্তিগত কাজে চট্রগ্রাম যায়,এসে দেখি হানিফ,আইয়ূব,সিদ্দিক,জিহাদ,জিহান,আফছার,সহ ওদের আরো কিছু সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে আমার নির্মাণাধীন বাড়ির রট,ইট,বালি,কাট,বাঁশ,চারটা চেয়ার, একটি পানিরকল,একটি লোহার দা,একটি লোহার কুড়াল সহ আরো কিছু কাজের মালামাল নিয়ে যায় এবং একটি গাছের বাগান থেকে ২০০পিচ চারা নষ্ট করে রেখে যায়, ঐ বাগান থেকে কিছু বড় গাছ কেটে নিয়ে যায়,বিষয় টি আমি মুছাপুর ইউপি চেয়ারম্যান,আবুল খায়ের নাদিম ও স্থানীয় ইউপি সদস্য নিজাম উদ্দীন কে অবগত করি।একটি কাজে দ্রুত চট্টগ্রাম যাওয়াই এর মধ্যে আমার মালামাল লুট ও চুরি করে নিয়ে যায়।
ঘটনার সত্যতা জানতে মুছাপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল খায়ের নাদিম কে একাধিক বার মুঠোফোনে কল করে ও পাওয়া যায়নি,পরে স্থানীয় ৫ নং ওর্য়াডের ইউপি সদস্য,নিজাম উদ্দীন কে মুঠোফোনে তিনি ঘটনার সত্যতা সীকার করে বলেন,হানিফ এর সাথে সাহেদের দীর্ঘদিন ধরে জমি-জমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে এইগুলো নিয়ে থানায় মামলা ও হয়েছে।সাহেদ এর বাড়ির মালামাল লুট ও চুরির ঘটনাটি সাহেদ আমাকে জানিয়েছে,এইসব বিষয় নিয়ে সাহেদ ও আকলিমা ওনারা আমাদের স্থানীয়(এমপি)মহোদয়ের নিকট অভিযোগ করেছেন।আমাদের চেয়ারম্যান ও আমাকে বিষটি প্রতিপক্ষের সাথে আলোচনা করে সমাধান করে দিতে বলেন,কিন্তু আমি হানিফ এর সাথে একাধিক বার যোগাযোগ করলে হানিফ আমাকে মীমাংসা করার আশ্বাস দিয়েও কোন যোগাযোগ করেনি।অভিযুক্ত হানিফ ও আইয়ুব এর সাথে একাধিক বার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!